ঢাকার বেইলি রোডের একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর পর হঠাৎই চর্তুমুখী অভিযানে নেমেছে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও বাহিনী। রেস্তোরাঁ থেকে আগুনে এত হতাহতের কারণে পরদিন থেকে ঢাকার খাবারের দোকানগুলোতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়।
তিনদিনে এগারোশর বেশি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে নানা ত্রুটির কারণে বেশ কিছু রেস্তোরাঁ সিলগালা ও বন্ধ করা হয়। আটকও করা হয়েছে আটশোর বেশি কর্মকর্তা কর্মচারীকে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাথে নিয়ে এসব অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, আটটি সংস্থার এগারোটি প্রত্যায়নপত্রের পর একটি রেস্টুরেন্টের অনুমোদন পাওয়ার কথা। কিন্তু বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে কেউ দায় না নিয়ে একে অপরের ওপর দোষ চায়।
নগর পকিল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব মনে করেন এই সব অভিযান পুরোপুরি লোকদেখানো। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, “বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলেই দায় এড়াতে চমক দেখিয়ে অভিযান শুরু করে প্রতিষ্ঠানগুলো। এ কারণেই বার বার ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটছে।”
তবে পুলিশ বলছে, নিয়মবহির্ভূতভাবে বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হওয়া রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে এসব অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন বিবিসি বাংলাকে বলেন, “বিভিন্ন ভবনের সেফটি সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে এই অভিযানে। সব প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।”
যদিও আলাদা আলাদা সংস্থার কাছে দায়িত্ব থাকায় তদারকি সঠিকভাবে হচ্ছে না বলে মনে করে সিটি কর্পোরেশন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এককভাবে কারো দায়িত্ব না বলেই কোনও না কোনও জায়গায় ত্রুটি থাকে। ফলে এই বিষয়গুলো নিয়ে এত কথা উঠছে।”
এই বিষয়টি নিয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করা হলেও এ নিয়ে তাদের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :