মাগুরায় হরিশ দত্ত সড়কের একটি মার্কেটের স্বর্ণের ৩ দোকানে চুরি হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। তবে কি পরিমান স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি মালিকরা।
মাগুরা সদর থানা অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মেহেদি হাসানসহ পুলিশের একটি দলকে দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।
মাগুরা জেলা জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি বিমল কুমার বিশ্বাস বলেন, সকালে অজ্ঞাত দুবৃত্তরা ঐ মার্কেটের নিচ তলায় ঢুকে সোহানা জুয়েলার্স, নিউ রেবা জুয়েলার্স ও সুমন জুয়েলার্স এই তিনটি দোকানের সাটার ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে এ চুরি সংঘটিত করে। কী পরিমান স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে তার পরিমান নির্ধারণের চেষ্টা চলছে।
পাশের মার্কেটের সাহা ষ্টোর নামের একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে চারজন সন্দেভাজন ব্যক্তিকে সকাল ৭টার দিকে একটি বস্তা ও ব্যাগ হাতে ঐ মার্কেটে দেখা গেছে। যা থেকে ধারনা করা হচ্ছে সকালের দিকে এ ঘটনাটি ঘটতে পারে। মার্কেটের দ্বিতীয় তলার নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া এটি অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। দ্বিতীয় তলা থেকে নিচ তলায় নামার পথের সিঁড়িতে প্রতিবন্ধকতামূলক কোনো ফটক নেই। ফলে সহজেই দ্বিতীয় তলায় উঠতে পারলে মার্কেটের নিচতলায় চলে যাওয়া সম্ভব। সম্ভবত চোর চক্রটি এ সুযোগ নিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকের একজন জয়দেব কর্মকার জানান, সকালে মার্কেটের দোকান খুলতে এসে সাটার ভাঙ্গা দেখতে পাই। একইভাবে অন্য ২ দোকান মালিক দোকান খুলতে এসে সাটার বাঙ্গা দেখতে পায়। আমার দোকান থেকে ১৪ আনা সোনা ও একটি স্বর্ণের চেন চুরি হয়েছে। অন্যদের কী পরিমান সোনা খোয়া গেছে নিরুপনের চেষ্টা চলছে।
মাগুরা সদর থানার অফিসা ইন চার্জ (ওসি) মেহেদি হাসান বলেন, শহরের হরিশ দত্ত সড়কের জুয়েলারি পট্টিতে তিনটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ১৬ মার্চ ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী পুরাতন বাজার সোনাপট্টির বৈদ্যনাথ জুয়েলারিতে সুড়ঙ্গ খুড়ে ১০৬ ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের কয়েকজন গ্রেফতার হয়। পরে তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :